স্যাটেলাইট
স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ হলো মানুষের তৈরি করা যান্ত্রিক যান যা মহাকাশে নিক্ষেপ করা হয়। বর্তমান আধুনিক যুগে স্যাটেলাইটের অবদান অনেক, যদিও সেটা অনেক সময়ই বুঝা হয়ে উঠে না। স্যাটেলাইটের নেভিগেসন দিয়ে আমরা প্রাত্যহিক জীবনে চলাচলের জন্য ব্যাবহার করি, একিভাবে স্যাটেলাইটের নেভিগেসন বিমান ও জাহাজ চলাচলে ব্যাবহার করা হয়। স্যাটেলাইট একটি উত্তম যুগাযুগের মাধ্যম, তাছাড়া স্যাটেলাইট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণে ব্যাবহার করা হয় , নিখুত তথ্য সংগ্রহ করে এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াতে আগ্রিম সতর্ক বার্তা দিয়ে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিয়ে সহায়তা করে।
স্যাটেলাইট অনেক ধরনের হতে পারে, সেটা নির্ভর করে মিশনের উপর।
-
রকেট বিজ্ঞ্যান
১৯৫৭ সালে মানুষ একটি অসাধ্য সাধন করেছিল প্রথমবারের মত মহাশূন্যে পাড়ি জমিয়ে, সেটা ছিল রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক মহাকাশযান, তারপর আমেরিকা এবং রাশিয়া অনেক মহাকাশ মিশন পরিচালনা করে, ১৯৬৯ সালে নাসা চাঁদে সফলভাবে মানুষ পাঠাতে সক্ষ্যম হয়। এই সবকিছু সম্ভব হয়েছিল নিরাপদ রকেট প্রযুক্তির জন্য। তাই আজকে রকেটের মৌলিক তত্ত্ব নিয়ে কিছু আলোচনা হবে।
-
ভস্তক ১ : মহাশূন্যে প্রথম মানুষ
ভস্তক-১ প্রথম মনুষ্যবাহী মহাকাশ অভিযান। ১৯৬১ সালের ১২ ই এপ্রিল রাশিয়ান নভোচারী ইউরি গ্যাগারিন মহাশূন্যে প্রথম মানব হিসেবে পাড়ি জমিয়ে ইতিহাসের খাতায় নাম লেখান। ভস্তক ১০৬ মিনিট পৃথিবীর কক্ষপথে পরিভ্রমণ শেষে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসে। এই ঘটনাটি মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্তপুর্ন মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (JWST) - মহাবিশ্বের প্রথম আলোর সন্ধানে
JWST নতুন প্রজন্মের টেলিস্কোপ বলা হয়ে থাকে, এটা হাবল টেলিস্কোপের উত্তরসূরি হিসেবে ধরা হচ্ছে । JWST হাবল টেলিস্কোপ থেকে অনেক গুনে শক্তিশালী , যেমন মুল দর্পন প্রায় ৬.৫ মিটার দর্পনের আকার ছাড়াও এই JWST আসল বৈশিষ্ট্য হল ইনফ্রা-রেড (700 nm – 1 mm তরঙ্গ দীর্ঘ) তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের টেলিস্কোপ। ইনফ্রা-রেড বা অবলোহিত টেলিস্কোপ আসলে এমন ছবি পর্যবেক্ষণ করতে পারবে যা প্রচলিত অন্য টেলিস্কোপে এখন কঠিন। মহাবিশ্বের বিভিন্ন অংশে অত্যন্ত ক্ষীণ আলো পর্যবেক্ষণে সক্ষম হবে, বিজ্ঞানীমহল এই টেলিস্কোপ নিয়ে অনেক আশাবাদী
-
এপোলো ১১ চন্দ্র অভিযান
১৯৬৯ সালের ২১শে জুলাই নেইল আর্মস্ট্রং প্রথম মানব হিসেবে চাঁদে পদার্পণ করেন, তার প্রায় ২০ মিনিট পর বাজ অল্ড্রিন চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করেন। তাদের আরেক সঙ্গী মাইকেল কলিন্স তখন চাঁদের কক্ষপথে সার্ভিস মডিওল (Service Module) “কলাম্বিয়া” পরিচালনা করছিলেন। নভোচারীরা চাঁদের মাটিতে প্রায় ২১ ঘণ্টা ছিলেন । অতঃপর অভিযান শেষে সকল নভিচারিরা ২৪শে জুলাই নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসেন।
-
ইউরোপা ক্লিপার
বৃহস্পতি গ্রহের একটি উপগ্রহ হলো ইউরোপা । বিভিন্ন কারনে এই উপগ্রহ বিজ্ঞানীদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। এর কারন হলো, অনেকে মনে করেন, এই উপগ্রহে প্রান ধারনের মত উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে, সে প্রান হয়ত পৃথিবীর মত এত জটিল না, সেটা হতে পারে অত্যন্ত খুদ্র। প্রান ধারনের জন্য বেশ কিহু উপাদানের প্রয়োজন, যেমন পানি, রাসায়নিক উপাদান, শক্তির উৎস এবং সময়। প্রান ধারনের জন্য পানি আবশ্যকীয়, ইউরোপা উপগ্রহে রয়েছে লবণাক্ত সাগর, এই উপগ্রহে রয়েছে বিভিন্ন গুরুত্তপুর্ন রাসায়নিক উপাদান যেমন সালফার, কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন। আরেকটি গুরুত্তপুর্ন ব্যাপার হলো শক্তির উৎস, পৃথিবীর শক্তির উৎস হলো সূর্য , কিন্তু সূর্য থেকে এত দূরে ইউরোপা উপগ্রহে সূর্যের তাপ খুবই সীমিত । ইউরোপার শক্তির উৎস হলো বৃহস্পতি গ্রহের মহাকর্ষ বল । এই ধরনের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরের জন্যই এই মিশন - ইউরোপা ক্লিপার।
-
চীনের মঙ্গল অভিযান তিয়েন-ওয়াং-১
১৪ই মে ২০২১, চিনের মহাকাশযান তিয়েনওয়াং-১ সফল্ভাবে মঙ্গল গ্রহে অবতরন করে ইতিহাশের অংশ হলো, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পর চিন তৃতীয় দেশ হিসেবে সফলভাবে অন্যগ্রহে অবতরন করতে সক্ষম হলো। তিয়েনওয়াং-১ চিনের ভাষায় এর অর্থ “ স্বর্গকে প্রশ্ন ” (questions to heaven )
-
ভয়েজার-১
প্রতিটি মহাকাশ মিশন আমাদের জ্ঞানের পরিথি বাড়িয়ে দেয়, কিন্তু তাদের মধ্যে কিছু কিছু মিশন যেন আমাদের একদম অজানা ভুবনে নিয়ে যায় , যেমন ভয়েজার-১। ১৯৭৭ সালে নাসা প্রেরিত এই মহাকাশযানটি পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে রয়েছে এবং এখনো চালু রয়েছে। ২০১২ সালের অগাস্ট মাসে এই মহাকাশযানটি সৌরজগতের সীমানা অতিক্রম করে এবং বর্তমানে আন্তঃনাক্ষত্রিক স্থানে বিচরন করছে। এই মহাকাশযানটি এতই দূরে রয়েছে যে বেতার তরঙ্গ পৃথিবীতে আসতে প্রায় ২২ ঘণ্টা সময় লাগে।
-
রকেটের জ্বালানি
রকেট ইঞ্জিন মানুষের সৃষ্ট সবচেয়ে শক্তিশালী যন্ত্র, মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে একটি রকেট কয়েক টন ওজনের ভারী বস্তুকে পৃথিবীর সীমানা ছাড়িয়ে মহাশূন্যে নিয়ে যেতে পারে। ভূপৃষ্ঠ থেকে পৃথিবীর নিম্ন-কক্ষপথে যেতে রকেটের প্রায় ৮ মিনিটের মত সময় লাগে। আজকে এখানে আলোচনা হবে রকেটের জ্বালানি নিয়ে। সাধারন গাড়িতে পেট্রোল, ডিজেল জ্বালানি হিসেবে ব্যাবহার করা হয়, আবার নতুন ধরনের গাড়িতে ইলেক্ট্রিক/তড়িৎ শক্তি ব্যাবহার করা হয়। জ্বালানির ব্যাবহারের উপর ভিত্তি করে ইঞ্জিনও আলাদা হয় (ডিজেল, পেট্রোল ইঞ্জিন, EV) , ঠিক তেমনি রকেটের অনেক ধরনের জ্বালানি রয়েছে এবং রকেটের ইঞ্জিনও আলাদা হয় জ্বালানির উপর ভিত্তি করে। নিচে কিছু বহুল ব্যবহৃত রকেট জ্বালানি ও রকেট ইঞ্জিন নিয়ে আলোচনা করা হবে।
-
স্পুটনিক-২ : প্রথম নভোচারী লাইকা
স্পুটনিক-১ হল মানুষের তৈরি প্রথম সফল ভাবে প্রেরিত কৃত্রিম উপগ্রহ। তার মাত্র এক মাসের মধ্যে রাশিয়া পাঠায় স্পুটনিক-২, প্রথম মিশনে ছিল না কোন যাত্রী কিন্তু স্পুটনিক-২ মিশনে ছিল একজন যাত্রী, লাইকা নামের একটি কুকুর, বললে ভুল হবে না যে লাইকা ছিল প্রথম নভোচারী যে পৃথিবীকে আবর্তন করেছিল।
GNSS (Global Navigation Satellite System)
-
GPS স্যাটেলাইট
GPS এর সম্পূর্ণ নাম Global Positioning Systsem. GPS একটি স্যাটেলাইট ভিত্তিক ভৌগোলিক অবস্থান সনাক্তকারী পদ্দতি। GPS স্যাটেলাইট যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষ্যা বিভাগের অধীনে পরিচালিত একটি মিশন। যেকোনো এক সময় কমপক্ষে ২৪ টি স্যাটেলাইট চালু থাকে।
-
GLONASS – গ্লোনাস স্যাটেলাইট নেভিগেশন
গ্লোনাস প্রথম পরিক্ষ্যামুলক ভাবে চালু হয় ১৯৮২ সালে এবং ১৯৯৩ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। সম্পূর্ণভাবে ২৪ টি স্যাটেলাইট চালু হয় ১৯৯৫ সাল থেকে।
-
গালিলিও স্যাটেলাইট নেভিগেশন
ইউরোপের নেভিগেশন সিস্টেম গ্যালিলিও নামে পরিচিত। গালিলিও বেশ আধুনিক স্যাটেলাইট সিস্টেম, পৃথিবীর অধিকাংশ জায়গা থেকে ৬-৮টি স্যাটেলাইট দৃশ্যমান সবসময়, এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যেকোন বস্তুর অবস্থান নিখুতভাবে কয়েক সেন্টিমিটারের মধ্যে নির্ণয় করতে পারে।
CYGNSS হ্যারিকেন মিশন
নাসা প্রেরিত CYGNSS ( Cyclone Global Navigation Satellite System) কৃত্রিম উপগ্রহ প্রথম বারের মত পরীক্ষামূলক সমুদ্রপৃষ্ঠের সিগনাল পরিমাপ করছে। সর্বমোট ৮ টি স্যাটেলাইটের সমন্বয়য়ে তৈরি এই প্রকল্প। প্রথমবারের মত একটি স্যাটেলাইটে এই পরিক্ষ্যামুলক পরিমাপ করা হয়েছে, পরবর্তীতে আর বাকি ৭টি স্যাটেলাইটে এই পরিক্ষ্যা চালানো হবে।
এপোলো -১৭ : সর্বশেষ মনুষ্যবাহী চন্দ্র অভিযান
এপোলো -১৭ চন্দ্র-অভিযান , এপোলো সিরিজের সর্বশেষ মনুষ্যবাহী অভিযান। আরেকটি বিশাল মাইলফলক ছিল এপোলো-১১ অভিযান, ১৯৬৯ সালের ২১শে জুন প্রথম মানব হিসেবে নেইল আর্মস্ট্রং চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিলেন। কিন্তু নাসা পরবর্তীতে আরও ৫ টি সফল মনুষ্যবাহী মিশন পরিচালিত করেছিল, সর্বমোট ১২ জন নভোচারী চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছিলেন।
১৯৭২ সালের ১১ই ডিসেম্বর নভোচারীরা চাঁদের মাটিতে শেষ বারের মত অবতরণ করেন। তারপর আর কোন মনুষ্যবাহী চন্দ্রাভিযান পরিচালিত হয়নি।
রকেটের ইতিহাস
আধুনিক রকেটের আবিষ্কার আসলে বেশ নতুন, ১৮৯৮ সালে রাশিয়ান স্কুলশিক্ষক কন্সটানটিন ছিলকসভকি (Konstantin Tsiolkovsky) রকেটের সাহায্যে মহাকাশ অভিযানের অভিমত ব্যাক্ত করেন, ১৯০৩ সালে তিনি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন, তিনি উল্লেখ করেন, তরল জ্বালানি ব্যাবহারের মাধ্যমে দূরপাল্লার রকেট তৈরি করা সম্ভব। তিনি বিভিন্ন ধাপের রকেটের মূলনীতি প্রকাশ করেন এবং দেখান যে, বহুধাপ রকেটের মাধ্যমে পৃথিবীর অভিকর্ষ বল থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব।
-
বোরান - রাশিয়ার হারিয়ে যাওয়া স্পেস সাঁটল
বাইরের দিক থেকে নাসার স্পেস-সাঁটল বা STS এবং রাশিয়ার বোরান অনেকটা একই রকম কিন্তু নকশা অনেক পার্থক্য। বোরানের জন্য লঞ্চ ভেহিকল দরকার হয় । অন্য বড় ধরনের পার্থক্য হল, বোরান সম্পুর্ন স্বয়ংক্রিয় যা নিজে থেকে মিশন পরিচালনা করতে পারত। বিমানের মত ল্যান্ডিং করতে সক্ষম ছিল। সময়ের তুলনায় বেশ আধুনিক ছিল এই মহাকাশযান টি, কিন্তু সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের পর অর্থাভাবে প্রকল্পটি আর বেশিদূর আগায়নি। ১৯৯৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পটি বাতিল করা হয়।
-
NASA's Perseverance Rover
রকেট উৎক্ষেপণ : ৩০শে জুলাই ২০২০
মঙ্গল গ্রহে অবতরন ১৮ই ফেব্রুয়ারী ২০২১
-
ক্যাসিনি হাইগেন মহাকাশযান
নাসা এবং ESA (european space agency) এর যৌথ উদ্যোগে নির্মিত এই মহাকাশযান। ক্যাসিনি - হাইগেন প্রধানত ২ টি ছোট মহাকাশযানের মিলিত রূপ, ক্যাসিনি ও হাইগেন। ক্যাসিনি অরবিটার নাসা নির্মিত মহাকাশযান যা কিনা শনি গ্রহ প্রদক্ষিণ করছে এবং বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে চলছে।
-
সোহো (SOHO)
সোহো (SOHO) এর পূর্ণ নাম Solar & Heliospheric Observatory, মিশনটি নাসা (NASA) এবং ইসার (ESA) যৌথ উদ্যোগে প্রেরিত। স্যাটেলাইটের জগতে সোহো হয়ত একটি অপরিচিত নাম কিন্তু তাই বলে মোটেও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সোহো একটি বিশেষ স্যাটেলাইট। অনেক স্যাটেলাইট রয়েছে পৃথিবীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের জন্য, আর সোহো পর্যবেক্ষণ করে সূর্যকে।
-
ব্যাপি-কলম্বো (BepiColombo)
ব্যাপি-কলম্বো মিশন, ইসা ( ESA- European Space Agency) ও জেক্সার (JAXA –Japan Aerospace Exploration Agency) যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এই মিশন। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ফ্রেঞ্চ গায়ানা থেকে রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়, শেষ গন্তব্য সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ বুধ। যদিও দূরতের দিক থেকে বুধ গ্রহ আসলে বেশি দূরে নয়, কিন্তু যাত্রা পথ বেশ লম্বা, প্রায় ৭ বছর যাত্রা শেষ করে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসে বুধ গ্রহের পৌঁছাবে বলে আশা করা যায়। মিশন ২০২৭ সালে মে মাসে সমাপ্তি হাওয়ার কথা।
-
জুস নভোযান (Juice- JUpiter ICy Moons Explorer)
গত ২০২৩ সালের ১৪ই এপ্রিল যাত্রা শুরু করে ইসার নতুন নভোযান জুস, গন্তব্য বৃহস্পতি গ্রহের তিনটি গ্রহ গ্যানিমিড, ক্যালিস্টো ও ইউরোপা। প্রায় ৮ বছর যাত্রা করার পর ২০৩১ সালের জুলাই মাসে তার গন্তব্যে পৌঁছাবে। এই মিশনের লক্ষ্য হবে, ওই তিনটি উপগ্রহকে ভালকরে পর্যবেক্ষণ ও তথ্য সংগ্রহ। বৃহস্পতির এই তিনটি গ্রহেই রয়েছে তরল সাগর , আরও রয়েছে বেশ কিছু প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য যা প্রান ধারন করার জন্য উপযোগী। বৈজ্ঞানিক লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে এই তিনটি উপগ্রহের ভূতাত্ত্বিক, পৃষ্ঠ, রাসায়নিক বিক্রিয়া, পরিবেশ, বরফের পৃষ্ঠ ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা।