পরিসংখ্যান: এক্সো প্ল্যানেট ৫৬৭৮
[১৪ জুলাই ২০২৪ (তথ্য সূত্র - নাসা) ]
এক্সো প্ল্যানেট (Exo-Planet)
এক্সো- প্ল্যানেট বা বহিঃসৌরমণ্ডলী গ্রহ , যে সকল গ্রহ সৌরজগতের বাইরে অন্য কোন তারা মণ্ডলীতে অবস্তিত , বিভিন্ন পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে সনাক্ত করা হয়েছে।
গ্রহ সনাক্তকরন পদ্ধতি (Method )
যদিও গ্যালাক্সিতে অসংখ্য গ্রহ রয়েছে কিন্তু সরাসরি সনাক্তকরণ খুবই কঠিন, কারণ হল
গ্রহের নিজের কোন আলো নেই
গ্রহের দূরত্ব , পৃথিবী থেকে এই গ্রহের দূরত্ব অনেক
গ্রহ তার নিজস্ব নক্ষত্রের খুব কাছে থাকায় অস্পষ্ট দেখায় পৃথিবী থেকে
নিম্নলিখিত পদ্দতি দ্বারা নতুন গ্রহ সনাক্ত করা হয়,
Doppler shift
Astrometric measurement
Transit Method
Direct Imaging
Gravitational Microlensing
Transit Method
এই পদ্ধতি সবচেয়ে সহজ এবং বেশি ব্যবহৃত, ট্রান্সজিট পদ্দতির মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০০ সম্ভাব্য গ্রহ সনাক্ত করা হয়েছে।
যখন একটি গ্রহ তার নক্ষত্র ও পর্যবেক্ষক (যেমন, পৃথিবীতে অবস্তিত টেলিস্কোপ ) মধ্যে অতিক্রম করে, তখন গ্রহ নক্ষত্রের আলোতে পরিবন্ধকতার সৃষ্টি করে এবং উজ্জ্বলতা কমে যায় । এই অনুজ্জ্বলতা পরিমাপ করে এবং অনুজ্জ্বলতার সময়কাল নির্ণয় করে , নক্ষত্রের সঙ্গী গ্রহের কক্ষপথ ও আকার সনাক্ত করা যায়। Kepler and CoRoT মিশন এই পদ্দতি ব্যাবহার করে নতুন গ্রহ পর্যবেক্ষণ করে ।
Doppler shift
নক্ষত্রের নিকটে অবস্তিত গ্রহের মহাকর্ষ বলের প্রভাবে নক্ষত্রের গতি অথবা অবস্থানের পরিবর্তন পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গ্রহের ভর এবং কক্ষপথ নির্ণয় করা যায়।
নক্ষত্র এবং তার সঙ্গী গ্রহ মহাকর্ষ বলের প্রভাবে তাদের (নক্ষত্র ও গ্রহ) সাধারণ ভরকেন্দ্রে (common cnetre of gravity) আবর্তিত হয় । এ ক্ষেত্রে গতির পরিবর্তন পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে মাপা হয়, যেমন পর্যবেক্ষক সাপেক্ষে কাছে বা দুরে সরে যাওয়া, কাছে বা দুরে সরে গেলে আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য পরিবর্তিত হয় এবং এই তরঙ্গ দৈর্ঘ্য পরিবর্তন গণনা করে নক্ষত্র ও তার গ্রহ সনাক্ত ও বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করা যায়। ডপলার ইফেক্টএ আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য লাল বা নীল এর দিকে পরিবর্তিত হয়, যদি পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে( যেমন, পৃথিবীতে অবস্তিত টেলিস্কোপ ) নক্ষত্র দুরে চলে গেলে আলোর তরঙ্গ লালের দিকে পরিবর্তিত হয় আবার যদি পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে নক্ষত্র কাছে আসে তাহলে আলোর তরঙ্গ নীলের দিকে পরিবর্তিত হয়।
Astrometric measurement
এই পদ্দতিতে নক্ষত্রের গতির পরিবর্তে উপর ভিত্তি করে গ্রহ সনাক্ত করা হয়। পার্শ্ববর্তী গ্রহের মহাকর্ষ বলের প্রভাবে নক্ষত্রের কিছুটা অবস্তান পরিবর্তন হয়, এই ক্ষেত্রে আসে পাশের নক্ষত্রের সাপেক্ষে একটি নক্ষত্রের অবস্তান পরিবর্তন মেপে দেখা হয় , যদি নক্ষত্রের পাশে কোন গ্রহ থেকে থাকে তাহলে গ্রাহের মহাকর্ষ বলের প্রভাবে নক্ষত্রের সামান্য অবস্তান পরিবর্তিত হবে, এই পরিবর্তন কয়েক আলোক বর্ষ দুর থেকেও নির্ণয় করা যাবে।
Direct Imaging
এক্সো - প্ল্যানেট বা বহিঃ সৌরমণ্ডলীয় গ্রহের সরাসরি বাস্তব ছবি তোলা বেশ জটিল, কারণ পাশে অবস্তিত অত্যন্ত উজ্জল নক্ষত্রের কারনে পাশের গ্রহ অদৃশ্য থাকে । তারপরও বিশেষায়িত অপটিকস ও বিশেষ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কিছু গ্রহের আলোকচিত্র নেওয়া সম্ভব হয়েছে ।
করনোগ্রাফি (coronography) এই পদ্ধতি একটি , এই পদ্ধতি গ্রহের পাশের নক্ষত্রের আলো মাস্কের মাধ্যমে ব্লক করে দেওয়া হয়, যার ফলে গ্রহকে আরও পরিষ্কারভাবে দেখা যায়।
অন্য পদ্ধতি হলো ইন্টারফেরোম্যাত্রি (interferometry), এই পদ্ধতিতে কয়েকটি টেলিস্কোপ থেকে নক্ষত্রের আলো এমনভাবে একত্র করা হয় যাতে আলোর তরঙ্গ একটি আরেকটিকে বিলোপ করে ( cancel each other out) । Large Binocular Telescope Interferometer and Keck Interferometer এই পদ্ধতিতে গ্রহ সংকট করে।
Gravitational Microlensing
এই পদ্ধতি Einstein এর সাধারণ আপেক্ষিকতার সূত্র থেকে আসা , মহাকর্ষ স্থানকে (এবং কাল ) বেকে ফেলে , আলো সরল পথে চলে কিন্তু আলো চলার স্থান যদি মহাকর্ষ বলের প্রভাবে বেকে যায় তাহলে আগত আলোও বেকে যায়।
যখন কোন গ্রহ পর্যবেক্ষক এবং নক্ষত্রের দৃষ্টিরেখার বরাবর চলে আসে, সে ক্ষেত্রে গ্রহের মহাকর্ষ বল অনেকটা লেন্স এর মত আচরণ করবে। এর ফলে তারার উজ্জ্বলতা সাময়িক সময়ের জন্য বৃদ্ধি হবে ও তারার আপাত অবস্থান পরিবর্তিত হবে ।
Reference / তথ্য সূত্র
[1] “NASA Exoplanet Archive.” Available: https://exoplanetarchive.ipac.caltech.edu/.
[2] “Exoplanet Orbit Database | Exoplanet Data Explorer.” Available: http://exoplanets.org/.
[3] “Exoplanets - NASA Science.” Available: https://science.nasa.gov/exoplanets/.
[4] “Exoplanet and Candidate Statitics.” Available: https://exoplanetarchive.ipac.caltech.edu/docs/counts_detail.html.
[5] “Your table has moved!” Available: https://exoplanetarchive.ipac.caltech.edu/docs/table-redirect.html.