বৃহস্পতিগ্রহ
বৃহস্পতি সৌরজগতের পঞ্চম ও বৃহত্তম গ্রহ। এই গ্রহের ভর বাকি সকল গ্রহের ভরের আড়াইগুণ। বৃহস্পতির উপগ্রহের সংখ্যা ও আকারের জন্য এই গ্রহ নিজেই একটা ছোট সৌরজগত গঠন করে। অনেকে বৃহস্পতিকে ব্যর্থ নক্ষত্রও মনে করেন, কারণ রাসায়নিক উপাদান সূর্যের মত ( হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম)। কিন্তু পারমানবিক বিক্রিয়া ঘটার মত পর্যাপ্ত ভর নেই।
বায়ুমণ্ডলের উপাদান - হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম
উপগ্রহ ৯৫টি
প্রাণের অস্তিত্ব নেই
বৃহস্পতির ১ দিন ১০ ঘণ্টার সমান ( নিজের অক্ষে একবার পুর্ন আবর্তন করার সময়)
সূর্যকে একবার পরিভ্রমণ করতে সময় নেয় ১২ বছর
পরিসংখান
পেরিহেলিওন - ৭৪০,৬৭৯, ৮৩৫ কিমি 7.40680 x 108 km (4.951 A.U.)
এপিহেলিওন- ৮১৬,০০১,৮০৭ কিমি 8.16002 x 108 km (5.455 A.U.)
কক্ষপথে গতিবেগ - ৪৭,০০২ কিমি / ঘণ্টা 1.3056 x 104 m/s
গড় ব্যাসার্থ - ৬৯,৯১১ কিমি
আয়তন - ১,৪৩১,২৮১,৮১০,৭৩৯,৩৬০ কিমি
Scientific Notation: 1.43128 x 1015 km3
By Comparison: 1321.337 x Earth
ভর - 1.8981 x 1027 kg By Comparison: 317.828 x Earth
অভিকর্ষ- ২৪.৭৯ মিটার/সেকেন্ড২ (পৃথিবীর ১০০ পাউন্ড ওজন বৃহস্পতিতে অনুভূত হবে ২৫৩ পাউন্ড )
তাপমাত্রা- -১৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বৃহস্পতি বৃহত্তম গ্রহ, গ্রহের মেঘ অ্যামোনিয়া ও অ্যামোনিয়ার যৌগের সংমিশ্রণ । নিজের অক্ষে ১০ ঘণ্টায় একবার আবর্তন করে। গ্রহের বায়ুমণ্ডলের গঠন অনেকটা সূর্যের মত, অধিকাংশ হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম । বায়ুমণ্ডলে ভিতর চাপ ও তাপ বাড়ার কারণে হাইড্রোজেন তরল অবস্থায় থাকে। বৃহস্পতির সবচেয়ে বড় সাগর রয়েছে, তবে পানির পরিবর্তে এই সাগর হাইড্রোজেনের তৈরি। বিজ্ঞ্যানীরা ধারনা করেন, সাগরের গভীরতা প্রায় গ্রহের কেন্দ্রের অর্ধেক, প্রচণ্ড চাপের কারণে ইলেকট্রন হাইড্রোজেন পরমাণু থেকে সিটকে পরে , যা তরল হাইড্রোজেনকে তড়িৎ প্রবাহী হিসেবে পরিণত করে । বৃহস্পতির দ্রুতবেগে অক্ষে আবর্তনের কারণে ধারনা করা হয় , ইলেকট্রিকাল কারেন্ট প্রবাহিত হয়, যার কারণে অত্যন্ত শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি করে। । গ্রহের কেন্দ্রে আদৌ কোন কঠিন পৃষ্ট রয়েছে কিনা এটা এখনো স্পষ্ট নয়।
ম্যাগনেটোস্ফিয়ার/ চৌম্বক বলয়
বৃহস্পতির চৌম্বক ক্ষেত্র অনেক শক্তিশালী , পৃথিবীর থেকে ১৬ থেকে ৫৪ গুন পর্যন্ত।
বৃহস্পতির চৌম্বকক্ষেত্রের প্রভাব সূর্যের দিকে ৩০ লক্ষ কিমি এবং পেছনের দিকে প্রায় ১০০ কোটি কিমি পর্যন্ত বিস্তীর্ণ। বৃহস্পতির চৌম্বকক্ষেত্র নভোযানের জন্য বেশ ক্ষতিকর।
বৃহস্পতির বলয়: গ্রহের ছোট বলয় আছে, ১৯৭৯ সালে Voyager 1 মহাকাশযান প্রথম সনাক্ত করে।
অভিযান
বৃহস্পতি গ্রহের বেশ কিছু অভিযান পরিচালিত হয়েছে ।
১৯৭০ - Pioneer 10 and 11 (flyby)
১৯৭৯ - Voyager 1 & 2 (flyby)
১৯৯৫ - ২০০৩ : Galileo
২০০০ : Cassini (flyby)
২০১৬ : Juno
উপগ্রহ
এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত উপগ্রহ ৯৫টি ।
এদের মধ্যে ৪ টি উপরগহ বড়, আইও, ইউরোপা , গ্যানিমিড এবং ক্যালিস্টো। এই চারটি উপগ্রহকে গ্যালিলিও উপগ্রহ বলা হয়। গ্যানিমিড সৌরজগতের সবচেয়ে বড় উপগ্রহ এবং নিজস্ব চৌম্বক ক্ষেত্র রয়েছে, ।
৪ টি বড় উপগ্রহ ও অন্যান্য ছোট উপগ্রহ নিয়ে বৃহস্পতির অনেকটা নিজস্ব সৌরজগত রয়েছে। আইও , ইউরোপা , গ্যানিমিড , ক্যালিস্টো - এই ৪ তা বৃহস্পতির বৃহত্তম উপগ্রহ। ১৬১০ সালে গালিলিও প্রথম টেলিস্কোপ দ্বারা এই ৪ টি গ্রহ পর্যবেক্ষণ করেন, আইও সৌরজগতের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি অঞ্চল, ইউরোপায় রয়েছে তরল পানি ।
তথ্য সূত্র/ Ref
1. Jupiter: Overview: King of the Planets. NASA
http://solarsystem.nasa.gov/planets/jupiter
2. Jupitar , Wikipedia. https://en.wikipedia.org/wiki/Jupiter
3. Jupiter: By the Numbers, NASA.
https://solarsystem.nasa.gov/planets/profile.cfm?Object=Jupiter&Display=Facts
4. Jovian Art, NASA, Feb 25,2017.
https://www.nasa.gov/image-feature/jpl/pia21383/jovian-art
Last update: 25.02.2017